যে-কোনো পাঁচটি বিষয়ে সংক্ষিপ্ত রচনা লিখুন।
মহান আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে নারী ও পুরুষ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। মানুষ হিসেবে নারী-পুরুষ উভয়েই সমমর্যাদার' অধিকারী। কোথাও শুধু পুরুষকে আশরাফুল মাখলুকাত বলা হয়নি। কিন্তু ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে পৃথিবীতে নারী জাতিকে অত্যন্ত অবজ্ঞার চোখে দেখা হতো। তাদের জান ও ইজ্জতের কোনো নিরাপত্তা ছিল না। তাদেরকে জীবন্ত কবর দেওয়া হতো। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা নারীদের শুধু ভোগের সামগ্রী হিসেবে ব্যবহার করেছে। তাদেরকে দাসী হিসেবে গণ্য করেছে। একমাত্র ইসলাম ধর্মই নারীকে তার যথাযথ স্থানে সমাসীন করে তাদের অধিকার নিশ্চিত করেছে। ইসলামে নারীর মর্যাদা অনেক। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
ইসলামে নারীর অধিকার: ইসলামে নারীর বহুবিধ অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করা হয়েছে। যেমন-
১. মাতা হিসেবে: মাতা হিসেবে একজন নারীর মর্যাদা সবার ঊর্ধ্বে। আল্লাহ ও তাঁর রসুলের পর পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মর্যাদার অধিকারিণী হলেন মা। একজন মায়ের মর্যাদা সম্পর্কে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, "আমি মানুষকে তার পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টের পর কষ্ট সহ্য করে গর্ভে ধারণ করেন এবং দু'বছর পর্যন্ত স্তন্য পান করান।" এছাড়াও মাতার মর্যাদা ও অধিকার সম্পর্কে রসুলের একাধিক হাদিস বিদ্যমান। যথা: "জননীর পদতলে সন্তানের বেহেশত।" এছাড়াও তিনি বলেন, "আল্লাহ ও তাঁর রসুলের পরে সবচেয়ে অধিক সম্মান, মর্যাদা ও সদ্ব্যবহার পাবার যোগ্য হলেন মাতা।" এভাবেই ইসলাম মাতা হিসেবে একজন নারীকে পূর্ণ অধিকার ও মর্যাদার আসনে বসিয়েছে।
২. স্ত্রী হিসেবে: স্ত্রী হিসেবে একজন নারীর মর্যাদা অতি উচ্চে। স্ত্রীকে স্বামীর সমমর্যাদা প্রদান করেছে ইসলাম। আল্লাহ তায়ালা বলেন, স্ত্রীদের ওপর স্বামীর যেমন অধিকার রয়েছে, তেমন স্বামীদের প্রতি স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে। রসুল (স) তাঁর ঐতিহাসিক বিদায় হজ্জের ভাষণে স্ত্রীদের অধিকার নিশ্চিত করে বলেন, “তোমরা স্ত্রীদের সাথে উত্তম ব্যবহার করবে।”
৩. কন্যা হিসেবে কন্যা হিসেবে একজন নারীর অধিকার নিশ্চিত করেছে একমাত্র ইসলাম ধর্মই। ইসলামের পূর্বে কন্যা সন্তানদেরকে জীবন্ত কবর দেওয়া হতো। ইসলাম এই প্রথা বাতিল করেছে। মহানবী (স) বলেন, "যার কন্যা সন্তান জন্ম নেয়, কিন্তু তাকে জীবন্ত কবর দেয় না, লাঞ্ছিত করে না এবং পুত্র সন্তানকে তার থেকে বেশি ভালোবাসে না, আল্লাহ তায়ালা তাকে বেহেশতে প্রবেশ করাবেন।" এ থেকে একজন কন্যা হিসেবে নারীর মর্যাদা কতটুকু তা অনুধাবন করা যায়।
৪. দাসী হিসেবে দাসী হিসেবে একজন নারীর যে অধিকার প্রাপ্য তা নিশ্চিত করেছে একমাত্র ইসলাম। রসুল (স) বিদায় হজের ভাষণে বলেন, "তোমরা তোমাদের দাস-দাসীদের সাথে উত্তম ব্যবহার করো, তোমরা যা খাবে, তোমাদের দাস-দাসীদেরকেও তা খাওয়াবে এবং তোমরা যা পরবে তাদেরকেও অনুরূপ পরাবে।"
৫. সম-অধিকার প্রদান: ইসলাম নারীকে পুরুষের সমান অধিকার প্রদান করেছে। তাদেরকে কোনোভাবে অবহেলিত করার কোনো সুযোগ ইসলামে নেই। পবিত্র কুরআনের ঘোষণা- "হে আদম! তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করতে থাক এবং সেখান থেকে তোমরা দুজনে ইচ্ছামতো পানাহার কর।" এই আয়াতে নারী ও পুরুষ উভয়কেই সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে।
৬ . বিবাহের ক্ষেত্রে: ইসলাম নারীদের বিবাহের ক্ষেত্রে যথেষ্ট স্বাধীনতা প্রদান করেছে। এক্ষেত্রে তাদেরকে কোনোভাবেই জোরজবরদস্তি করা যাবে না। তাদের ইচ্ছা ছাড়া বিবাহ শুদ্ধ হবে না। ইজাব-কবুলে তাদের মতামতের মূল্য দেওয়া হয়েছে।
৭. সামরিক ক্ষেত্রে ইসলাম সামরিক ক্ষেত্রেও নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। নারীরা যুদ্ধের ময়দানে অংশগ্রহণ করতে পারবে। নারীরা যুদ্ধে পুরুষদের সেবা ও চিকিৎসার জন্য যেতে পারবে। ইসলামের অনেক যুদ্ধে মুসলিম নারীরা। অংশগ্রহণ করে ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছেন।
৮. আইনগত মর্যাদা: আইনের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষ সমান। ইসলামে উভয়ের জন্যই ভালো কাজের পুরস্কারের ব্যবস্থা এবং অন্যায় কাজের জন্য শাস্তি রয়েছে। নারীদেরকে এ ক্ষেত্রে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।
পরিশেষে এ কথাই প্রমাণিত হয়, চির অবহেলিত নারী সমাজকে ইসলামই প্রথম যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেছে। তাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত করেছে। তাদেরকে দিয়েছে সার্বিক মুক্তি। বন্দি-শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে স্বাধীনভাবে জীবনযাপনের অপূর্ব সুযোগ এনে দিয়েছে। এককথায়, ইসলাম নারীদেরকে যে অধিকার ও মর্যাদা দিয়েছে, অন্য কোনো ধর্মে তা দেওয়া হয়নি।
অনুবাদ করুন:
الم - ذلك الكتاب لا ريب فيه هدى للمتقين الذين يؤمنون بالغيب ويقيمون الصلوة ومما رزقتهم ينفقون والذين يؤمنون بما انزل اليك وما انزل من قبلك وبالأخرة هم يوقنون
الم এর মর্মার্থ বর্ণনা করুন।
মুত্তাকী কারা? অত্র আয়াতে هدى للمتقين অন্য আয়াতে هدى للناس বলা হয়েছে। এর কারণ কী?
অনুবাদ করুন:
عن ابن عمر - رضي الله تعالى عنهما -: أن رسول الله ﷺ قال: أُمرتُ أن أُقاتل الناسَ حتى يشهدوا أن لا إله إلا الله وأنَّ محمدًا رسول الله، ويُقيموا الصلاة، ويُؤتوا الزكاة، فإذا فعلوا ذلك عصموا مني دماءهم وأموالهم إلا بحقِّ الإسلام، وحسابهم على الله تعالى.
الا بحق الاسلام দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে?
মিশকাতুল মাসাবীহ গ্রন্থের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করুন।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?